আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে জাল বসানো নিয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার জেলেদের মধ্যে সৃষ্ঠ বিরোধের ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। দুই উপজেলার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে দুই পক্ষের মধ্যে এ সমঝোতা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার শোলকাটা এলাকার একটি কমিউনিটি হলে বৈঠকটি শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে।
বৈঠকে সাগরে জাল বসানোর ব্যাপারে সাম্প্রতিক বিষয়াদি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানান আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন,দুই উপজেলার জেলেরা সমন্বয় করে সাগরে জাল বসাবেন। প্রতিজন জেলে ১৩টি করে জাল বসাতে পারবেন। প্রতিটি জাল ৩০০ মিটার দুরত্ব রেখে বসাতে হবে। আগামী ১৫ নভেম্বর দুই উপজেলার প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সাগরে সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করবে।
বৈঠকে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী,বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী সাদলী মোহাম্মদ গালিব,আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী,সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো.হুমায়ুন কবির,আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী,বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম,আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার,বাঁশখালী থানার ওসি শফিউল আলম,রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ও খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদর উদ্দিনসহ দুই উপজেলার মৎস্যজীবী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩ ও ৪ আগষ্ট সাগরে জাল বসানো নিয়ে আনোয়ারা এবং বাঁশখালী উপজেলার জেলেদের মধ্যে বিরোধের জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ এলাকার মোহাম্মদ নাছির (৩০) নামের এক জেলে নিহত হন।
বঙ্গোপসাগরে জাল বসানো নিয়ে বিরোধের ঘটনায় দুই পক্ষের সমঝোতা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।